নাইজেরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘বোকো হারামের’ প্রতিষ্ঠাতার এক ছেলে চাদে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে দেশটিতে ‘জঙ্গি সেল’ পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। দেশটির এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও এক সাবেক বিদ্রোহীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছেন।
অভিযুক্তের নাম মুসলিম মোহাম্মদ ইউসুফ, বোকো হারামের আরও পাঁচ সন্দেহভাজন সদস্যের সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বোকো হারাম সংগঠনটি নাইজেরিয়ায় তার জন্মের কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ। ২০০৯ সালে সেনা অভিযানে বাবা নিহত হওয়ার সময় মুসলিম মোহাম্মদ ইউসুফ শিশু ছিল। উগ্রপন্থি গোষ্ঠীটি নাইজেরিয়ার পাশাপাশি ১৫ বছর ধরে চাদ অঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রাম ও সামরিক ঘাঁটিতে ক্রমবর্ধমান ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে।
চাদ অঞ্চলের এক নাইজেরীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, চাদে ছয় সদস্যের একটি জঙ্গি সেল গ্রেপ্তারের খবর তারা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রয়াত বোকো হারাম প্রতিষ্ঠাতার কনিষ্ঠ ছেলে মুসলিম।’ তবে তিনি জানান, এই সেলটি ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রভিন্সের (আইএসডব্লিউএপি) অন্তর্ভুক্ত, যা মতাদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণে বোকো হারাম থেকে আলাদা হয়ে গঠিত প্রতিদ্বন্দ্বী একটি শাখা।
চাদে গ্রেপ্তারের পর এএফপি যে ছবি দেখেছে, তাতে নীল ট্র্যাকস্যুট পরা খাটো ও পাতলা দেহের এক তরুণকে দেখা যায়, যিনি ইউসুফের সঙ্গে খুব সাদৃশ্যপূর্ণ। তিনি বয়স্ক কয়েকজন পুরুষের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন।
ইউসুফের বাবার এক সাবেক লেফটেন্যান্টও ইউসুফের গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন, যিনি বোকো হারামকে প্রত্যাখ্যান করলেও গোষ্ঠীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানেন। তিনি এএফপিকে বলেন, তাকে ও তার দলকে চাদের নিরাপত্তা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তারা ছয়জনের একটি দল।
চাদের পুলিশ জানিয়েছে, তারা ‘শহরে সক্রিয় দস্যুদের গ্রেপ্তার করেছে…তারা নথিবিহীন ছিল এবং বোকো হারামের সদস্য।’ রাজধানী এনজামেনা থেকে পুলিশের মুখপাত্র পল মানগা এএফপিকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সেলটি ‘কয়েক মাস আগে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন