কঙ্গোতে পৃথক দুটি নৌ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির একুয়াটর প্রদেশে বুধবার ও বৃহস্পতিবার, প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরত্বে আলাদা দুটি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ ও রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাতে আল জাজিরা এ তথ্য প্রকাশ করে।
ডিআরসির সমাজসেবা মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লুকোলেলা এলাকায় কঙ্গো নদীতে যাত্রীবোঝাই একটি বড় নৌকা (হোয়েলবোট) আগুন ধরে যায় এবং পরে ডুবে যায়। নৌকাটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় নিহত হন ১০৭ জন, জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ২০৯ জনকে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক।
এর আগের দিন বুধবার, একুয়াটর প্রদেশের বাসানকুসু এলাকায় একটি মোটরচালিত নৌকা ডুবে যায়। এতে কমপক্ষে ৮৬ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের সংখ্যার সঠিক হিসাব এখনও জানা যায়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবারের দুর্ঘটনা ঘটেছে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও রাতের অন্ধকারে নৌযান চালানোর কারণে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, গ্রামবাসীরা নদীর তীরে লাশ জড়ো করে শোক প্রকাশ করছেন। স্থানীয় সিভিল সোসাইটি সংগঠন দুর্ঘটনার জন্য সরকারকেই দায়ী করে বলেছে, নিহতের সংখ্যা আরও বেশি।
নৌবাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরাও অংশ নেন উদ্ধারকাজে। আহতদের চিকিৎসা, নিহতদের পরিবারের সহায়তা এবং জীবিতদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।