চলতি মে মাসে সাগরে ডুবে অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৩ মে) জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারে মানবিক সংকট ও তহবিল সংকটে পড়া রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই ঝুঁকি নিচ্ছেন বলে।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ নিধন সংকটে ও বাংলাদেশের আশ্রয়কেন্দ্রে মানবেতর অবস্থা থেকে প্রাণ বাঁচাতে বাধ্য হয়ে সমুদ্রপথে অনিরাপদ নৌযাত্রা করতে হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর অনুমান করছে যে, ৯ ও ১০ মে ডুবে যাওয়া দুটি নৌকায় মোট ৫১৪ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। তারা বাংলাদেশে কক্সবাজারের ক্যাম্প ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এদের মধ্যে মাত্র ৮৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এই মৃত্যুর ঘটনা রোহিঙ্গাদের জন্য ২০২৫ সালের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়।
ইউএনএইচসিআরের আঞ্চলিক পরিচালক হাই কিয়াং জুন বলেন, মানবিক সহায়তার তহবিল কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গারা আরও বেশি ঝুঁকি নিতে বাধ্য হচ্ছে। নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনের আশায় তারা এখন মরিয়া হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘ আশ্রয়দানকারী দেশগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জীবনযাত্রা স্থিতিশীল করতে এবং মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুতদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
২০২৫ সালের জন্য ইউএনএইচসিআর রোহিঙ্গাদের জন্য ৩৮৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর মাত্র ৩০ শতাংশ পাওয়া গেছে।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর কারণে মানবিক খাতের তহবিল সংকুচিত হচ্ছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। মার্চ মাসে তহবিল সংকটে পড়ে ইউএনএইচসিআর ৩০ কোটি ডলারের কার্যক্রম স্থগিত করেছে বলেও জানানো হয়।
আপনার মতামত লিখুন :