দীর্ঘ রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় প্রায় নিশ্চিত ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (ডিপি) প্রার্থী লি জে-মিয়ংর।
মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোট গ্রহণের পর প্রকাশিত এক্সিট পোলে এই ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটিতে প্রায় তিন দশকের মধ্যে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ।
সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, সিউলের পশ্চিমে ইনচিয়নে নিজ বাড়ির বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লি বলেন, যদিও এখনো সময় আছে, তবু তিনি ‘জনগণের মহান সিদ্ধান্তের’ প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন।
স্ত্রী কিম হাই-কিউংয়ের সঙ্গে মাথা নত করে সিউলের ইয়েউইদোতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে চড়ে বলেন, ‘আমি আমার ওপর অর্পিত বৃহৎ দায়িত্ব এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব, যাতে আমাদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়।’
এক্সিট পোলের তথ্য অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ ভোট গণনার পর বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জে-মিয়ং ৪৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রতিদ্বন্দ্বী কিম মুন-সু পেয়েছেন ৪২ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট। তৃতৃীয় স্থানে রয়েছেন নিউ রিফর্ম পার্টির লি জুন-সিওক ৭.৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে।
এক্সিট পোলের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে লি’র শত শত সমর্থক উল্লাসে ফেটে পড়ে। পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে বসে থাকা দলীয় কর্মকর্তারা ‘লি জে-মিয়ং’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
আজকের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে প্রায় ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা প্রায় দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাত ৮টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্যালট গণনা শুরু হয়েছে।
ভোট গণনা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণার পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এটি হয়তো আগামীকাল (বুধবার) সকালেই হতে পারে। তবে নবনির্বাচিত সরকার প্রধানকে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে সামরিক আইন জারির ব্যর্থতার কারণে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সংঘটিত আগাম নির্বাচনে লি জে-মিয়ংয়ের জয় নিশ্চিত বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সম্প্রচার সংস্থা কেবিএস, এমবিসি এবং এসবিএস।
আপনার মতামত লিখুন :