জাপানে উচ্চকক্ষ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার নেতৃত্বাধীন জোট। তবে এখনই পদত্যাগ করার কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন শিগেরু ইশিবা। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এই ফল ইশিবার সরকারের জন্য আরেকটি বড় ধাক্কা, কারণ এর আগে অক্টোবরের নির্বাচনে তার জোট নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল ডায়েট-এর নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছিল।
রোববার রাতে ভোটের ফল ঘোষণার পর ইশিবা বলেন, ‘এই ফল আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করছি। এই পরিস্থিতি কঠিন, আমাদের এটি বিনয় ও গুরুত্বের সাথে নিতে হবে।’
এই নির্বাচনে উগ্র ডানপন্থি ও জনতাবাদী সানসেইতো পার্টি বড় ধরনের অগ্রগতি অর্জন করেছে, যারা বিদেশিদের মাধ্যমে ‘নীরব আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।
ইশিবার নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং তার শরিক দল মিলে জাপানের ২৪৮ আসনের উচ্চকক্ষ হাউস অব কাউন্সিলরস-এ ৪৭টি আসনে জয় পেয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে তাদের দরকার ছিল অন্তত ৫০টি আসন, অর্থাৎ জোটটি ৩টি আসন কম পেয়েছে।
ফলে উচ্চকক্ষে এখন এলডিপি-কোমেইতো জোটের মোট আসন দাঁড়িয়েছে ১২২টি, যেখানে প্রতি তিন বছর পরপর অর্ধেক আসনে ভোট হয়।
এদিকে, দেশজুড়ে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির কারণে তৈরি হওয়া অসন্তোষ ও অর্থনৈতিক স্থবিরতার সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক মূলধারায় প্রবেশ করেছে সানসেইতো। দলটি এবার তাদের আগের একটি আসনের সঙ্গে আরও ১৪টি আসন জিতে নিয়েছে।
মাত্র ৩টি আসনসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী এই দলটি অভিবাসনবিরোধী প্রচার, কর হ্রাস ও সামাজিক কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনতার মন জয় করতে সক্ষম হয়।
সানসেইতো দলের নেতা সোহেই কামিয়া ৪৭ বছর বয়সি একজন সাবেক ইংরেজি শিক্ষক ও সুপারমার্কেট ব্যবস্থাপক, যিনি টিকা ও ‘গ্লোবালিস্ট অভিজাতদের’ বিরুদ্ধে বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আলোচিত হয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘সাহসী রাজনৈতিক ধারা’ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :