ঢাকা শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত

জাতিসংঘে যুদ্ধ বন্ধ চাইল কম্বোডিয়া, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপে ‘ না’ থাইল্যান্ডের

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
সামরিক যানে সেনা টহল। ছবি-সংগৃহীত

থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার চলমান সংঘর্ষ বন্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে নমপেন। নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূত ছিয়া কেও তার দেশ এই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় জানিয়ে নিঃশর্তভাবে সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। কম্বোডিয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে এখনো প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি থাইল্যান্ড। খবর বিবিসির।   

প্রতিবেশী দেশ দুটি দু’দিন ধরে সীমান্তে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে, যাতে কমপক্ষে ১৬ জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছে। এ ছাড়া যুদ্ধের কারণে ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এর আগে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী আট জেলায় সামরিক আইন জারি করে থাইল্যান্ড।

এদিকে, শুক্রবার (২৫ জুলাই) এ সংঘাত যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই। তার অভিযোগ, যুদ্ধে এখন ভারী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে এবং থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে বেসামরিক এলাকায় গুলি করছে, যার কারণে সীমান্তের ১২টি স্থানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের অভিযোগ এনেছে। বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচারে প্রভাব ফেলার কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ। যদিও থাইল্যান্ড এই অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

ইতিমধ্যে, দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম । বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা এবং সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে থাইল্যান্ডের ঘনিষ্ট মিত্র  যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশ ও সংস্থা। এ পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাতে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার কোনো প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।