দক্ষিণ কোরিয়ার সেনারা সীমান্তের কাছে তাদের সৈন্যদের লক্ষ্য করে সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির দাবি, এই ধরনের ঘটনা উত্তেজনাকে আরও ‘অসহনীয়’ স্তরে পৌঁছে নিতে পারে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) পিয়ংইয়ংয় এ তথ্য জানায় বলে সংবাদমাধ্যম কেসিএনকে’র খবর।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে উত্তর কোরিয়ার সেনা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল কো জং চোল জানান, সেনারা স্থায়ীভাবে সীমান্ত বন্ধের কাজ করার সময় গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে মেশিনগান দিয়ে ১০টিরও বেশি সতর্কতামূলক গুলি চালানো হয়। কো এই ঘটনাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
শুক্রবারের বিবৃতিতে তিনি বলেন, সীমান্ত বন্ধ করার কাজের সঙ্গে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করলে তারা প্রতিশোধ নেবে।
দক্ষিণ কোরিয়া এখনও এ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। গত এপ্রিলেও সীমান্ত অতিক্রম করলে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের সতর্ক করতে গুলি ছুঁড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ঘোষণা করেছিল, তারা দক্ষিণ সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করার কাজ শুরু করেছে। তখন তারা যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের উদ্দেশে একটি টেলিফোন বার্তাও পাঠায়, যাতে ভুল বোঝাবুঝি বা আকস্মিক সংঘাত এড়ানো যায়।
এর অল্প সময় পর উত্তর কোরিয়া দক্ষিণের সঙ্গে যুক্ত কিছু অচল রাস্তা ও রেলপথ উড়িয়ে দেয়।
উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তে প্রায়ই সহিংসতাহীন উত্তেজনা দেখা দেয়। গত বছর উত্তর কোরিয়া হাজার হাজার বর্জ্যভর্তি বেলুন দক্ষিণে পাঠায়, যা ছিল দক্ষিণ কোরীয় কর্মীদের পাঠানো উত্তরবিরোধী প্রচারপত্রের জবাব।
এরপর দক্ষিণ কোরিয়া ছয় বছর পর সীমান্তে লাউডস্পিকার চালু করে, যেখানে কে-পপ গান ও আন্তর্জাতিক খবর সম্প্রচার করা হয়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে উত্তর কোরিয়া সীমান্তের ওপাশ থেকে রহস্যময় শব্দ প্রচার শুরু করে, যা সীমান্তবর্তী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
