শ্রীলঙ্কার একটি আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহেকে জামিন দিয়েছে। ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় তহবিলের অপব্যবহারের অভিযোগে গত সপ্তাহে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) তাকে জামিন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
৭৬ বছর বয়সি বিক্রমাসিংহে একটি রাষ্ট্রীয় হাসপাতাল থেকে ভাচ্যুয়ালি আদালতের শুনানিতে যোগ দেন। তার ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি) জানিয়েছে, স্বাস্থ্যের কারণে ডাক্তারি পরামর্শে তাকে সপ্তাহান্তে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
শুনানির আগে মধ্য কলম্বোর আদালতের বাইরে বিরোধী রাজনীতিবিদসহ শত শত সমর্থক জড়ো হন। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলুদ ব্যারিকেড দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ঘিরে ফেলে।
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনপির উপ-সচিব আকিলা বিরাজ কারিয়াওয়াসাম বলেন, ‘এটি আমাদের বিচার বিভাগের স্বাধীনতার লক্ষণ। আমরা গণতন্ত্র এবং যথাযথ প্রক্রিয়ার সমর্থনে এখানে এসেছি। সরকারের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালানো। এতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
ইউএনপি দাবি করেছে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতা হারানো বিক্রমাসিংহে নির্দোষ। তারা মনে করে, তার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাসীন দল, প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমারা দিশানায়েকের নেতৃত্বে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিক্রমাসিংহের বিরুদ্ধে মামলাটি ২০২৩ সালে ব্রিটেনে তার স্ত্রীর সম্মানসূচক অধ্যাপকত্ব উদযাপনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত বিশেষ স্নাতক মধ্যাহ্নভোজ-এর ভিত্তিতে করা হয়েছে।
পেশায় আইনজীবী বিক্রমাসিংহে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেকর্ড ছয়বার দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২২ সালে দ্বীপরাষ্ট্রটির দুর্বল আর্থিক সংকটের শীর্ষে থাকাকালীন তিনি প্রেসিডেন্ট হন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন