দুর্নীতি বিরোধী জেন-জি প্রজন্মের বিক্ষোভে নেপালজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞা ঘিরে উত্তেজনা চরমে ওঠায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। আহত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষ, যাদের মধ্যে বিক্ষোভকারী ছাড়াও নিরাপত্তা কর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, শুধু কাঠমান্ডু উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ১৭ জন এবং পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইটাহারিতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। হাসপাতালভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, কাঠমান্ডুর ট্রমা সেন্টারে ৮ জন, এভারেস্ট হাসপাতালে ৩ জন, সিভিল হাসপাতালে ৩ জন, কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে ২ জন এবং ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে ১ জন মারা গেছেন।
আহতের প্রকৃত সংখ্যা নিশ্চিত করা না গেলেও সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে কমপক্ষে ৩৪৭ জন আহত বিক্ষোভকারীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সিভিল হাসপাতাল ১০০, ট্রমা সেন্টার ৫৯, এভারেস্ট ১০২, কেএমসি ৩৭, বীর হাসপাতাল ছয়, পাটন হাসপাতাল চার, ত্রিভুবন টিচিং ১৮, নরভিক তিন, বিপি কৈরালা ইনস্টিটিউট অফ হেলথ সায়েন্সেস দুই, গণ্ডকী মেডিকেল কলেজ একজন, বিরাট মেডিকেল কলেজ চার এবং দামক হাসপাতাল সাতজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে নেপালের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশ দিয়েছিল, আহত সকল বিক্ষোভকারীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিতে হবে।
এদিকে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। কাঠমান্ডু উপত্যকায় ফেডারেল পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে হামলার পর নিউ বানেশ্বর ও আশপাশে কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পোখরায় (কাস্কি) মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে ভাঙচুরের জেরে শহীদ চক ও সংলগ্ন এলাকায় দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ চলছে। পূর্বাঞ্চলীয় সুনসারি জেলার ইটাহারিতে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। রূপানদেহির বুটওয়াল-ভৈরহওয়া এলাকায় সোমবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকে।
কেবল রাজধানী নয়, বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে বিরাটনগর, চিতওয়ান, ঝাপা ও রূপানদেহিতেও। এসব অঞ্চলের অনেক বিক্ষোভই সহিংসতায় পরিণত হয়েছে।