ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। তাদের উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির উদ্ধারকারী সংস্থা।
গত শনিবার সেন্ট্রাল জাভার বানজারনেগারা জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতে বড় ধরনের ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৪৮টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি)।
বিএনপিবির মুখপাত্র আবদুল মুহারি বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাতে বলেন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সাত শতাধিক কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে ট্র্যাকিং কুকুরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
মুহারি নিশ্চিত করে বলেন, উদ্ধারকারীরা আরও সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন। এতে বানজারনেগারায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ এ দাঁড়িয়েছে। এখনো ১৮ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এদিকে প্রায় এক হাজার বাসিন্দা এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। প্রবল বৃষ্টি, জমে যাওয়া পানি এবং সক্রিয় ঝরনার কারণে আরও ভূমিধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার পাশের জেলা সিলাকাপে তিনটি গ্রামে আরেকটি ভূমিধস হয়। এতে অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিএনপিবি। এ ছাড়া আরও তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। বুধবারের পর এ বিষয়ে আর কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা মৌসুমি বর্ষণে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিতই ভূমিধস, হঠাৎ বন্যা এবং পানিবাহিত রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহও ভারি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড়বৃষ্টির ধরন বদলে যাচ্ছে— বৃষ্টিপাত, হঠাৎ বন্যা ও ঝোড়ো হাওয়া আরও তীব্র হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় পাপুয়া এলাকায় হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুহারি।

