ঢাকা সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫

ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা চুক্তি করল ব্রিটেন

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
১৯ মে লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডের লেইন, ইউরোপীয় কাউন্সিলের সভাপতি আন্তোনিও কস্তার সঙ্গে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কাইর স্টারমার। ছবি-সংগৃহীত

ব্রেক্সিটের পর এবারই প্রথম গুরুত্বপূর্ণ কোনো চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতা কমানো এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সোমবার (১৯ মে) লন্ডনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দুই পক্ষ। 

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্তা আনুষ্ঠানিকভাবে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তির মূল অংশ হিসেবে একটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তি করা হয়েছে।

ফলে, রোলস রয়েস ও ব্যাবকের মতো ব্রিটিশ কোম্পানি প্রায় ১৫০ বিলিয়ন ইউরোর সশস্ত্রকরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে। তবে এর জন্য অতিরিক্ত কিছু বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন হবে।
 
চুক্তিতে ব্রিটিশ ও ইইউর মাছ ধরার নৌকাগুলোকে একে অপরের জলসীমায় ১২ বছরের জন্য প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে যুক্তরাজ্যের খাদ্য রপ্তানিকারকদের জন্য সীমান্তে পর্যালোচনা এবং কাগজপত্রের ঝামেলা কমানো হবে।

এ ছাড়া ইউরোপে ভ্রমণকারী ব্রিটিশ নাগরিকরা দ্রুত ই-গেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। এর বদলে ব্রিটেন ইইউ’র সঙ্গে একটি সীমিত যুব অভিবাসন প্রকল্পে সম্মত হয়েছে এবং ‘ইরাসমাস প্লাস’ নামের একটি ছাত্র বিনিময় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে।

এর আগে ২০১৬ সালের ঐতিহাসিক গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাজ্য। যার ফলে দেশটিতে অভিবাসন, সার্বভৌমত্ব, সংস্কৃতি ও বাণিজ্য নিয়ে তীব্র বিভাজন দেখা দেয়।

নতুন চুক্তির আওতায় কিছু ক্ষেত্রে ইউরোপীয় মান ও নিয়মকানুন মানতে হতে পারে, যা স্টারমারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের জন্য সমালোচনার সুযোগ তৈরি করেছে। কনজারভেটিভ পার্টি এই চুক্তিকে আখ্যা দিয়েছে ‘আত্মসমর্পণ সম্মেলন’ হিসেবে।