ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির একটি সামরিক শিল্প কারখানায় ‘সফল হামলা’ চালানোর দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
শনিবার (২৫ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায় মস্কো।
বিবৃতিতে বলা হয়, উচ্চ-নির্ভুল গ্রাউন্ড-ভিত্তিক অস্ত্র এবং ড্রোনের মাধ্যমে হামলা চালানো হয়। একই সঙ্গে একটি রাডার নজরদারি কেন্দ্র ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহকৃত প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল হামলার লক্ষ্যবস্তু। সবগুলো নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু সফলভাবে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও দাবি করা হয়।
ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য এখনো ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তবে কিয়েভবাসীরা রাতভর একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ছবিতে একটি বড় বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা গেছে।
অপ্রকাশিত সংবাদসূত্রের বরাতে ধারণা করা হচ্ছে, পশ্চিম কিয়েভে অবস্থিত আন্তোনভ বিমান কারখানাই ছিল রুশ হামলার অন্যতম লক্ষ্য।
রাশিয়ার এই পাল্টা হামলার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেন থেকে মস্কো ও অন্যান্য রুশ অঞ্চলে ড্রোন হামলা বেড়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মঙ্গলবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ৭৮৮টি ড্রোন এবং ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়। শুক্রবার রাতে আরও ১০৪টি ড্রোন আটকানো হয়েছে।
এদিকে, রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় গত এক সপ্তাহে এক ব্যক্তি নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন শিশু।
এ ছাড়া কুরস্ক অঞ্চলের লগভ শহরে যুক্তরাষ্ট্র সরবরাহকৃত হিমার্স রকেট হামলায় আরও চারজন বেসামরিক নাগরিক, যার মধ্যে দুই শিশু রয়েছে, আহত হয়েছেন।
রুশ সেনাবাহিনী বলেছে, কিয়েভের এসব হামলার জবাবে তারা সামরিক প্রতিক্রিয়া দেবে। তবে ইউক্রেনের মতো বেসামরিক স্থাপনা নয়, তাদের লক্ষ্য থাকবে কেবল সামরিক ও প্রতিরক্ষা শিল্পের স্থাপনাগুলিতে সীমাবদ্ধ।
আপনার মতামত লিখুন :