ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তার দেশের বিভিন্ন শহরে রাশিয়া হামলা করেছে এবং এটিই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘সবচেয়ে বড় হামলা’। এই হামলায় ৭২৮টি ড্রোন এবং ১৩টি ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
হামলার নিন্দা করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এটা এমন সময় করা হলো যখন শান্তি অর্জন ও যুদ্ধবিরতির জন্য অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু রাশিয়া এসব কিছুকে প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিয়েভে আরও অস্ত্র পাঠানো হবে বলার পর রাতভর রাশিয়া এই হামলা চালিয়েছে।
ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে তার হতাশাও প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুতিন সবসময়ই আমাদের জন্য দারুণ কিন্তু এটা অর্থহীন বিষয়ে পরিণত হয়েছে’।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন ‘মস্কো এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে না। ট্রাম্প সাধারণত যেভাবে কথা বলেন তা বেশ কর্কশ—যেসব শব্দ তিনি ব্যবহার করেন।’
দুই নেতাই নিয়মিত যোগাযোগের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু সেটি ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির জন্য কার্যকর রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত সপ্তাহে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি খুবই অখুশী। ‘তিনি শুধু মানুষ হত্যা চালিয়ে যেতে চান। এটা ভালো নয়।’
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন কিয়েভকে সামরিক সহায়তা স্থগিত করে সমালোচনার মুখে পড়েছিল। এখন সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে কিয়েভকে সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে ইউক্রেন ১০টি প্যাট্টিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পেতে পারে।
রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। কিয়েভ ও দেশটির পূর্বাঞ্চলে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। অন্য এলাকাগুলোও হামলার বাইরে থাকছে না।
তথ্যসূত্র: বিবিসি