রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

২৬ লাখ টাকা খরচ করে আত্মহত্যা করলেন নারী

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৫, ১১:২৭ পিএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

বেড়াতে যাওয়ার নাম করে ইউরোপ সফরে বের হয়েছিলেন এক নারী। কিন্তু সেই ভ্রমণের আড়ালে লুকিয়ে ছিল ভিন্ন পরিকল্পনা। পরিবারকে না জানিয়ে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে খরচ করেন ২৬ লাখ টাকারও বেশি।

গত ৮ জুলাই আয়ারল্যান্ডের ক্যাভান থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন মওরিন স্লাউ (৫৮)। তবে প্রকৃতপক্ষে তিনি গোপনে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ডে, যেখানে স্বেচ্ছামৃত্যুর মাধ্যমে নিজের জীবন সমাপ্ত করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

তিনি বাড়ি থেকে বের হলেও পরিবারের কেউ জানতেন না তার আসল উদ্দেশ্য। কেবল দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিষয়টি জানতেন। পরদিন মওরিনের মেয়ে মেগান রয়্যাল এক বন্ধুর কাছ থেকে মায়ের পরিকল্পনার কথা জানতে পারেন। সেই বন্ধু তাকে জানান, ‘তোমার মা সুইজারল্যান্ডে গেছেন, সেখানে তিনি আত্মহত্যা করতে গেছেন’।

মেগান সঙ্গে সঙ্গে বাবাকে খবর দেন এবং পরিবার মরিয়া হয়ে মওরিনের খোঁজ শুরু করে। কিন্তু পরদিনই আসে হৃদয়বিদারক সংবাদ। হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তায় জানানো হয়— মওরিন আর বেঁচে নেই। বার্তাটি পাঠিয়েছিল পেগাসোস নামের একটি সংগঠন, যারা মূলত আত্মহত্যায় সহায়তা করে। তারা আরও জানায়, মওরিনের অস্থি ডাকযোগে ৬-৮ সপ্তাহ পর পরিবারের কাছে পৌঁছাবে।

মেগান বলেন, ‘সেই মুহূর্তে আমি একা ছিলাম, কোলে ছোট্ট সন্তান। বার্তাটি পড়েই আমি ভেঙে পড়ি। মনে হলো আমার দুনিয়া ভেঙে গেল।’

পরবর্তীতে জানা যায়, মওরিন পেগাসোসের মাধ্যমে স্বেচ্ছামৃত্যুর আয়োজনের আবেদন করেছিলেন। এ প্রক্রিয়ার জন্য তিনি প্রায় ২৬ লাখ টাকা (২১ হাজার ৪০০ ডলার) খরচ করেন। সুইজারল্যান্ডে ১৯৪২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুতে সহায়তা বৈধ হলেও ইউথানেশিয়া নিষিদ্ধ। এখানে রোগী নিজেই ওষুধ গ্রহণ করে মৃত্যুর পথ বেছে নেন।

তবে মওরিনের পরিবার এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের অভিযোগ, সংগঠনটি পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। মওরিনের ভাই, যুক্তরাজ্যের আইনজীবী ফিলিপ স্লাউ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চেয়ে আবেদন করেছেন।

মওরিনের মেয়ে বলেন, ‘আমার মা ছিলেন প্রাণবন্ত ও বুদ্ধিমতী মানুষ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। দুই বোনকে হারানোর পর তিনি ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েন। আগেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, তিনি কষ্টে ছিলেন। কিন্তু সেটা এতটা গভীর ছিল না যে জীবন শেষ করে দিতে হবে। তিনি কোনো মরণব্যাধিতে ভুগছিলেন না। তার আরও অনেক জীবন বাকি ছিল।’

আগস্টের শুরুতে মওরিনের অস্থি এসে পৌঁছায় আয়ারল্যান্ডে। মাসের শেষে তাকে দুই বোনের পাশে সমাহিত করা হয়। মেগান বলেন, ‘আমরা তাকে বোনদের সঙ্গে কবর দিয়েছি। কিন্তু শোক থেকে বের হওয়া এখনো আমার পক্ষে অসম্ভব হয়ে আছে।’

Link copied!