পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্ক দখলের দাবি করেছে রাশিয়া। সোমবার (১ ডিসেম্বর) ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ কথা জানান।। তবে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ। দেশটি বলেছে, যুদ্ধ বন্ধের আলোচনাকে প্রভাবিত করতে রাশিয়া এমন দাবি করছে।
গুরুত্বপূর্ণ ওই শহর ও হাবটিতে দীর্ঘদিন ধরে তীব্র লড়াই চলছিল। এটির দখল নিতে রাশিয়ার অনেক সেনা নিহত ও আহত হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের অসংখ্য সেনাও প্রাণ হারিয়েছেন।
যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন ও ইউক্রেনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এর কয়েক ঘণ্টা পরই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি দখলের দাবি করে মস্কো।
রাশিয়ার এ দাবি নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও ইউক্রেনের অপতথ্য প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে আগামী কয়েক সপ্তাহ এ ধরনের তথ্য ছড়ানো হবে।’
এছাড়া যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা প্রভাবিত এবং পশ্চিমাদের জন্য এসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে সোমবারের শুরুতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও তাদের সেনারা পোকরোভস্ক ও আশপাশের অঞ্চলের দখল নিজেদের কাছে রেখেছে এবং শত্রুবাহিনীর সেনাদের প্রতিহত করে যাচ্ছে।
গত রোববার সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে যুদ্ধের সম্মুখ সারিতে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ওই সময় দেশটির সেনাপ্রধান ভেলারি গেরাসিমোভ পুতিনকে শহরটি দখলের তথ্য জানান।
দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে পোকরোভস্কের সিটি সেন্টারে রাশিয়ার পতাকা টানাচ্ছেন দেশটির সেনারা। যা সংবাদমাধ্যম সিএনএন নিশ্চিত করেছে।
সড়ক ও রেল যোগাযোগ থাকায় পোকরোভস্ককে ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শহর হিসেবে দেখা হতো। কিন্তু রাশিয়ার অব্যাহত ড্রোন হামলার কারণে সড়ক-রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইউক্রেন রসদ সরবরাহের জন্য বিকল্প পথ খুঁজে নেয়।

-20251202084503.webp)

