চীনের পক্ষ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ বা বাধাগ্রস্ত করার সম্ভাব্য হুমকিকে ভারতের জন্য ‘লাভজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন আসাম রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপে আসামের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং জনজীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পাবে।’
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হেমন্ত দাবি করেন, ‘ব্রহ্মপুত্র কেবল একটি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল নয়। চীন থেকে আসে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পানি, বাকি ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভারতীয় ভূখণ্ড—অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ের মৌসুমি বৃষ্টির মাধ্যমে আসে।’
তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি অঞ্চলের ছোট নদী ও ছড়াগুলোর পানি ব্রহ্মপুত্রে মিশে নদীর শাখানদীগুলোকেও সমৃদ্ধ করে।’
হেমন্ত আরও দাবি করেন, ‘চীন যদি পানিপ্রবাহ কমিয়ে দেয়, তাতে ভারতীয় অংশে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না। বরং বন্যার প্রকোপ কমে আসবে। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের পানিপ্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে ১৫ থেকে ২০ হাজার কিউবিক মিটার হলেও চীন-ভারত সীমান্তে তা মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার কিউবিক মিটার।’
চীনের পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে যখন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত এই বার্তায় আশাবাদ প্রকাশ করেন, ‘ব্রহ্মপুত্রের প্রাণশক্তি ভারতের ভূপ্রকৃতি ও বৃষ্টির ওপর নির্ভর করে, চীনের ওপর নয়।’
তিনি পাকিস্তানকেও সতর্ক করে বলেন, ‘ভারতের একাধিক নদীপ্রবাহ নিয়ে যেভাবে চীন বা পাকিস্তান চাপ সৃষ্টি করতে চায়, তা ভূগোল ও প্রকৃত বাস্তবতার নিরিখে কার্যকর নয়।’
আপনার মতামত লিখুন :