ভারতের আহমেদাবাদে ভেঙে পড়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির বিশ্বাস কুমার রমেশ নামে এক ব্রিটিশ যাত্রী জীবিত রয়েছেন। বেঁচে ফেরা ওই যাত্রী এখন হাসপাতালে, তার চিকিৎসা চলছে। তিনি বুকে, চোখে ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, তারা হাসপাতালে রমেশের সঙ্গে কথা বলেছে। তিনি সাংবাদিকদের নিজের প্লেনের বোর্ডিং পাসও দেখিয়েছেন। সেখানে তার নাম রয়েছে এবং আসন সংখ্যা উল্লেখ করা আছে ১১এ বলে।
রমেশ সাংবাদিকদের বলছেন, ‘আকাশে ওড়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ভীষণ জোরে আওয়াজ হয়, আর বিমানটি ভেঙে পড়ে। সব কিছু খুব কম সময়ের মধ্যেই ঘটে যায়।’
হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের বোর্ডিং পাস দেখিয়ে বিশ্বাস কুমার বলেন, ‘যখন উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশ পড়ে ছিল। আমি ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি; উঠে দাঁড়িয়ে দৌড় দিই। আমার চারপাশে উড়োজাহাজের ভাঙা টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সে তোলেন এবং হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
এদিকে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী, ২ জন পাইলট ও ১০ জন কেবিন ক্রু। বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবারওয়াল। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দার। তবে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পুলিশের বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, বিধ্বস্ত বিমানে থাকা ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর দুর্ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যেখানে বিশ্বাস কুমার রমেশকে হাঁটতে দেখা গেছে। তার সাদা টিশার্ট ও কালো ট্রাউজারে নোংরা দাগ লেগে আছে। পায়ে আঘাত পাওয়ার কারণে খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন। তার পোশাকে রক্ত ও কালো দাগ লেগে থাকতে দেখা যায়।
ভারত ভ্রমণ শেষে যুক্তরাজ্যে ফিরছিলেন রমেশ। এয়ার ইনডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটিতে সঙ্গে তার ভাইও ছিলেন। দুর্ঘটনার পর সেই ভাইকে খুঁজছেন তিনি।