বাংলাদেশে পুশইনের ভয়ে ভারতের কলকাতায় আত্মহত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) কার্যকর হলে বিতাড়িত হতে পারেন এই আশঙ্কায় দিলীপ কুমার সাহা (৬৩) কলকাতায় নিজের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে রিজেন্ট পার্ক এলাকার আনন্দপল্লী ওয়েস্ট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি নানা অজুহাতে নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশইন করছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ বাঙালি অধ্যুষিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে আছেন বহু মানুষ।
দিলীপ কুমার সাহার স্ত্রী আরতি সাহা জানান, এনআরসি কার্যকর হলে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে, এই ভয়ে তার স্বামী বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। তিনি ছোটবেলায় কলকাতায় এসেছিলেন। বর্তমানে তার বৈধ ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড এবং অন্যান্য কাগজপত্রও ছিল।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পুশইনের ভয় থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তার ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন। দিলীপ কুমার সাহা দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়ায় একটি বেসরকারি স্কুলের কর্মচারী ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
এদিকে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী ও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অরূপ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে বিতাড়িত হওয়ার ভয় একজন মানুষের জীবন এমন তছনছ করতে পারে। তারা (কেন্দ্র) এনআরসির নামে যা শুরু করেছে, তা তাদের জনবিরোধী মনোভাবের প্রমাণ, আর এর ফলাফল তো আপনাদের সামনে।’
আপনার মতামত লিখুন :