রাজশাহীর তানোরে গভীর নলকূপের জন্য খোঁড়া গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত ফিরে পেতে এক নির্ঘুম রাত কেটেছে উদ্ধার কর্মীদের। সঙ্গে স্বজন ও স্থানীয়দেরও। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত, রাত গড়িয়ে ভোর ও পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা। এভাবে চলে গেছে ২৫ ঘণ্টা।
এরপরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি শিশু সাজিদকে। গতকাল দুপুরে সবশেষ শিশুটির কান্নার আওয়াজ শোনা যায়। কয়েক দফা নলকূপের ৩৫ ফুট গর্তে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ক্যামেরা নামায়। কিন্তু ওপর থেকে পড়া মাটি ও খড়ের কারণে শিশুটিকে দেখতে পায়নি তারা।
শুরুর দিকে বলা হচ্ছিল, পাইপের গর্তটি ৩০ থেকে ৪০ ফুট। কিন্তু এখন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ধারণা করছেন এটির গভীরতা ১৫০ থেকে ২০০ ফুট। এ কারণে শিশুটির সঠিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারছেন না তারা। তাই সাজিদ কত ফুট নিচে আছে? সেখানে সে জীবিত আছে নাকি মারা গেছে? সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থলের অদূরে সন্তানকে ফিরে পেতে মা রুনা খাতুনের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে আকাশ-বাতাস। ক্ষণে ক্ষণে জ্ঞানও হারাচ্ছেন তিনি।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর একটার দিকে তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশু সাজিদ কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল ইসলাম ও তানোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রউফ জানান, তিনটি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে প্রায় ৪০ ফিট মাটি খুড়া হয়েছে। এরপরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।
তবে, উদ্ধারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। মানুষের কোলাহলের কারণে এখন শিশুটির কোনো সাড়া বুঝতে পারছেন না তারা।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন