ঢাকা শুক্রবার, ০৮ আগস্ট, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি স্থগিত করল ভারত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৭:০২ পিএম
ওয়াশিংটনে মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বর্ষপূর্তিতে একটি স্ট্রাইকার সাঁজোয়া যান প্রদর্শন করা হয়। ছবি- রয়টার্স

ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন অস্ত্র ও যুদ্ধবিমান কেনা স্থগিত করেছে ভারত। সংশ্লিষ্ট তিন ভারতীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

রয়টার্স বলছে, ট্রাম্প ৬ আগস্ট রুশ তেল কেনা অব্যাহত রাখার অভিযোগে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, ফলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ৫০ শতাংশে। তবে ট্রাম্পের শুল্কনীতি দ্রুত পরিবর্তনের নজির রয়েছে। ভারত জানিয়েছে, তারা ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনায় সক্রিয় আছে।

এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, শুল্ক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকনির্দেশনা পরিষ্কার হলে প্রতিরক্ষা কেনাকাটা এগোতে পারে, তবে এটি এত দ্রুত হবে না।

আরেক কর্মকর্তা জানান, কেনাকাটা স্থগিত করার লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়নি, ফলে দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলের সুযোগ রয়েছে, যদিও এখন অন্তত কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল ভারত। তবে উচ্চ শুল্ক আরোপের পর তারা অভিযোগ করেছে, ‘ভারত অন্যায্যভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে, যেখানে ওয়াশিংটন ও তার ইউরোপীয় মিত্ররাও নিজেদের স্বার্থে মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।’

রয়টার্স জানিয়েছে, জেনারেল ডায়নামিকস ল্যান্ড সিস্টেমসের তৈরি স্ট্রাইকার যুদ্ধযান এবং রেথিয়ন ও লকহিড মার্টিনের যৌথভাবে তৈরি জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র কেনার আলোচনা শুল্কের কারণে স্থগিত হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসব সরঞ্জাম ক্রয় ও যৌথ উৎপাদনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন।

দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। তার এই সফর বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ওই সফরে ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ছয়টি বোয়িং পি-৮আই নজরদারি বিমান ও সহায়ক ব্যবস্থা কেনার ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। ৩.৬ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবিত এই চুক্তির আলোচনা শেষ পর্যায়ে ছিল।