শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

মুখস্থ বিদ্যার দিন শেষ, বই খুলে পরীক্ষা দিতে পারবে শিক্ষার্থীরা!

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম

ভারতের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

ভারতের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ছবি- সংগৃহীত

শিক্ষাব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা করল ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব সেকেন্ডারি অ্যাডুকেশন (সিবিএসই)। আগামী ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই খুলেই পরীক্ষা দিতে পারবে। এই নতুন পরীক্ষাপদ্ধতির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওপেন-বুক অ্যাসেসমেন্ট’ (ওবিএ)।

গত জুন মাসে সিবিএসই’র সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর মূল লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মুখস্থ-সর্বস্ব পড়াশোনা থেকে বের করে এনে তাদের বিশ্লেষণী ক্ষমতা বাড়ানো।

জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি) ২০২০ এবং ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক ফর স্কুল এডুকেশন (এনসিএফএসই) ২০২৩-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এই নতুন পদ্ধতি চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত নবম শ্রেণিতে ভাষা, গণিত, বিজ্ঞান এবং সমাজবিজ্ঞানের মতো বিষয়গুলোতে এই ব্যবস্থা কার্যকর হবে।

পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট পাঠ্যবই এবং ক্লাসের নোট দেখতে পারবে।

তবে সিবিএসই জানিয়েছে, এই পদ্ধতি স্কুলগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক নয়, বরং ঐচ্ছিক। স্কুল কর্তৃপক্ষই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সিবিএসই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে একটি ‘ওপেন-বুক’ পরীক্ষার আয়োজন করেছিল।

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার ফল প্রকাশিত হয়, যেখানে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর ১২ থেকে ৪৭ শতাংশের মধ্যে। ফলাফল থেকে স্পষ্ট হয় যে, পাঠ্যক্রম-বহির্ভূত বইয়ের ব্যবহার এবং পাঠ্য বিষয়গুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের ধারণায় এখনও ঘাটতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও শিক্ষকেরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তাদের মতে, এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটাবে এবং তাদের প্রায়োগিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। এর আগে ২০১৪ সালে ‘ওপেন টেক্সট বেসড অ্যাসেসমেন্ট’ (ওটিবিএ) নামে প্রায় একই ধরনের একটি ব্যবস্থা চালু করেও ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে তা বাতিল করে দিয়েছিল সিবিএসই।

সূত্র: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া

Link copied!