গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরপরই ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপরেও ভারত ভ্রমণে শীর্ষ দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ভারত সরকারের বিদেশি পর্যটক আগমনের (এফটিএ) একটি তালিকার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। সোমবার লোকসভায় এ তালিকা উপস্থাপন করেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত।
তালিকা অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে ভারত ভ্রমণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ভারতে বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ দাঁড়িয়েছে ৯৯.৫২ লাখে।
লোকসভায় মন্ত্রীকে এক লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, গত পাঁচ বছরে ভারতে এফটিএ’র পরিসংখ্যান কী এবং কোভিড-১৯ মহামারির পর ভারতের পর্যটন খাত কতটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন (আইটিএ) দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত—বিদেশি পর্যটক আগমন (এফটিএ) এবং প্রবাসী নাগরিকদের আগমন।
মন্ত্রী জানান, ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ভারতে এফটিএ’র শীর্ষ ১০ দেশ হলো—যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা, জার্মানি, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর।
বছরভিত্তিক এফটিএ’র হিসেবে দেখা যায়, ২০২০ সালে ২৭.৪৫ লাখ, ২০২১ সালে ১৫.২৭ লাখ, ২০২২ সালে ৬৪.৩৭ লাখ, ২০২৩ সালে ৯৫.২১ লাখ ও ২০২৪ সালে ৯৯.৫২ লাখ পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন।
অন্যদিকে আইটিএ অর্থাৎ আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ছিল—২০২০ সালে ৬৩.৩৭ লাখ, ২০২১ সালে ৭০.১০ লাখ, ২০২২ সালে ১৪৩.৩০ লাখ, ২০২৩ সালে ১৮৮.৯৯ লাখ ও ২০২৪ সালে ২০৫.৬৯ লাখ।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ ও ২০২৩ সালে বাংলাদেশের পর্যটকেরাই ছিল ভারতের প্রধান পর্যটন বাজার। তবে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৪ সালে শীর্ষ স্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের তালিকায় নিয়মিত স্থান ধরে রেখেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা।