ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০২৫

ভারতে আ.লীগের কার্যালয় বন্ধের বিষয়ে যা বলল দিল্লি

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৩:০৯ এএম
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল । ছবি- সংগৃহীত

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কথিত রাজনৈতিক কার্যালয়গুলোর অস্তিত্ব সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে, সেগুলো অবিলম্বে বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে।

বাংলাদেশ সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশে নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলের পলাতক নেতা-কর্মীরা ভারতের মাটিতে বৈধ বা অবৈধভাবে অবস্থান করে রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনসহ দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, যা রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ-ভারত পারস্পরিক আস্থা ও সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবেশেও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে।

বাংলাদেশ সরকারের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘ভারতে আওয়ামী লীগের কথিত সদস্যদের বাংলাদেশবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড বা ভারতের আইনের পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে ভারত সরকার অবগত নয়।’

তিনি আরও বলেন,  ‘ভারত তার ভূখণ্ডে অন্য দেশের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অনুমতি দেয় না। বাংলাদেশ সরকারের জারি করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ভিত্তিহীন।’

তবে রণধীর জয়সওয়াল এও উল্লেখ করেন, ‘ভারত আশা করে, বাংলাদেশে জনগণের ইচ্ছা ও ম্যান্ডেটের প্রতিফলন ঘটিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

বাংলাদেশ সরকার তার বিবৃতিতে জানিয়েছে,  ‘আওয়ামী লীগ নামধারী একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল ভারতের মাটিতে কার্যালয় স্থাপন করেছে বলে সরকারের নজরে এসেছে। এই দলটির অনেক শীর্ষ নেতা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক অবস্থায় ভারতের ভূখণ্ডে রয়েছে।’

এছাড়াও গত ২১ জুলাই দিল্লি প্রেস ক্লাবে ওই দলের কিছু সিনিয়র নেতা একটি এনজিও’র আড়ালে গণসংযোগ কর্মসূচি চালানোর চেষ্টার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে তারা সাংবাদিকদের মাঝে বুকলেট বিতরণ করেছিল বলে দাবি করা হয়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টেও ওই দলের ভারতের মাটি থেকে রাজনৈতিক তৎপরতা চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এসব কার্যক্রম বাংলাদেশে জনমত উত্তেজিত করতে পারে এবং দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাকে ব্যাহত করতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারত সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে— নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।, ভারতের মাটি ব্যবহার করে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক যেন বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।, এই ধরনের কার্যক্রমকে কোনোভাবেই অনুমোদন বা সহায়তা না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।