ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যে রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’র (টিভিকে) সমাবেশে পদদলিত হয়ে ৪১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকে মুষড়ে পড়ে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন অভিনেতা থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া থালাপতি বিজয়। টিভিকে নামের রাজনৈতিক দলের প্রধান তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় থালাপতি বিজয়ের সমাবেশে বিপুল লোকসমাগম হয়। একপর্যায়ে অতিরিক্ত গরম ও হুড়োহুড়িতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এতে পদদলিত হয়ে নারী–শিশুসহ ৪১ জন মারা যান। আহত হন শতাধিক। টিভিকে সূত্র জানায়, এ ঘটনায় শোকে মুষড়ে পড়েছেন বিজয় থালাপতি। তিনি এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে, ওই ঘটনার পর থেকে কিছুই খাননি।
দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে ২০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিজয়। পাশাপাশি আহত প্রায় ১০০ জনের প্রত্যেককে ২ লাখ রুপি দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে জনসভায় পদদলিত হয়ে প্রাণহানির ঘটনায় মামলা করেছে ভারতীয় পুলিশ। এতে টিভিকের দুই শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। অপরদিকে টিভিকের অভিযোগ, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও গুন্ডাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ এই ঘটনার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে। এ ঘটনায় সিবিআই অথবা আদালতের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত চায় টিভিকে। এ লক্ষ্যে মাদ্রাজ কোর্টে আপিলও করেছে রাজনৈতিক দলটি।
ঘটনার পর বিজয়কে অবিলম্বে কারুর ছেড়ে যেতে মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি ঘটনাস্থল ছেড়ে চেন্নাই চলে যান। ইস্ট কোস্ট রোড (ইসিআর)–সংলগ্ন নীলঙ্কারাইয়ে বিজয়ের বাসভবনে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এরপর সোমবার সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে চেন্নাই পুলিশ। হুমকি পেয়ে নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন। ডগস্কোয়াড ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল বাসভবন প্রাঙ্গণে ব্যাপক তল্লাশি চালায়।
সূত্র আরও জানায়, সম্ভাব্য কোনো হুমকি নেই জানার পর সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বাসভবনের প্রতিটি অংশ সাবধানতার সঙ্গে পরিদর্শন করেছেন। এর আগে হতাহতের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে টিভিকের দেওয়া এক পোস্টে ৫১ বছর বয়সি বিজয় মৃত ও আহত ব্যক্তিদের জন্য গভীর শোক এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার হৃদয়ে যে ব্যথা অনুভূত হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’
