ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার ঘটনায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১১ বছর বয়সি গাজার কনিষ্ঠতম সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ইয়াকিন হাম্মাদও রয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী আবারও গাজা ভূখণ্ডে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। সেখানকার একটি স্কুলে বোমা বর্ষণে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। স্কুলটি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুজন রেডক্রস কর্মী, এক সাংবাদিক এবং একাধিক শিশু।
এদিকে, স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি সম্মেলন বসেছে। সেখানে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করা।
পৃথক প্রতিবেদনে আলজাজিরা জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
২০২৫ সালের ১৮ মার্চ থেকে ইসরায়েল ফের নতুন করে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। এই সময়ের মধ্যে আরও ৩ হাজার ৬১৩ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এর ফলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে হওয়া যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তি কার্যত ভেঙে পড়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এখনো আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলাও চলমান।
আপনার মতামত লিখুন :