প্রথমে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া, এরপর হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এবার ইসরায়েলের টার্গেট ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তাকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।
বৃহস্পতিবার ( ১২ জুন) সামাজিক মাধ্যম ‘এক্সে’ খামেনিকে হত্যার হুমকি দেয় মোসাদ। এমন বার্তার পর থেকে ইরানে ইসরায়েলের হামলার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বলা হচ্ছে, যে কোনো সময় ইরানে হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল। মার্কিন কর্মকর্তারা এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ ইর্য়ক টাইমকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে ইসরায়েল। মার্কিন সমর্থন ছাড়াই তারা এই হামলা চালাবে।
বেশ কিছুদিন ধরে পরমাণু চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডাতেও জড়ায় দুই দেশ। এর মধ্যেই দেশটির আশপাশ এলাকায় থাকা কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ওই অঞ্চলে সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়।
এরপরই সামাজিক মাধ্যমে খামেনির সাথে কাশেম সোলেইমানির ছবি দেয় ইসরায়েলি বাহিনী মোসাদ। ছবির ক্যাপশনে লিখে দেয়া হয় ‘ধৈর্য্য ধরো, শীঘ্রই দেখা হবে’। এভাবে সরাসরি হত্যার হুমকি দেওয়া হয় আয়াতুল্লাহ আল খামেনিকে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ জুন কাশেম সোলেইমানিকে হত্যা করে মার্কিন সেনারা। নিজের সাহসিকতার জন্য ইরানে সবার পছন্দের ব্যক্তি ছিলেন সোলেইমানি।
এমনকি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি তাকে ‘বিপ্লবের জীবিত শহীদ’ উপাধিও দিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাকে নৃশংস হত্যাকারী হিসেবে গণনা করে।