ঢাকা বুধবার, ১৮ জুন, ২০২৫

ফের ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮৯ ফিলিস্তিনি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ১১:০৯ এএম
গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিন । ছবি - সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মানবিক খাদ্য সহায়তা কেন্দ্রে নিহত হয়েছে ৮৯ ফিলিস্তিনি। নিহতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক (প্রায় ৭০ জন) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের বাসিন্দা। খবর আলজাজিরা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৫ হাজার ৪৩২ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও এক লাখ ২৮ হাজার ৯২৩ জন।

জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা এবং মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘ ও মানবিক সংস্থাগুলো বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও গাজার খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোতে বেসামরিক নাগরিকদের গণহত্যা চালু রেখেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েল সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত কেন্দ্রগুলোতে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। এসব কেন্দ্রকে সমালোচকরা ‘মানব কসাইখানা’ হিসেবে নিন্দা করছেন।

রয়টার্স ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) মতো আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোও এই হামলাগুলোর খবর নিশ্চিত করেছে, যেখানে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা খাবারের জন্য অপেক্ষা করার সময় হামলার শিকার হচ্ছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। সেই হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত ও ২০০ জনেরও বেশি লোককে বন্দি করা হয়েছিল। ইসরায়েল দাবি করে যে, তাদের অভিযান হামাসকে নির্মূল করার জন্য ও জিম্মিদের উদ্ধারের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের ফলে উপত্যকার বেশির ভাগ অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানকার ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত এবং তীব্র খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। চলমান এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি করেছে।