ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর দেশটিকে আগের একটি সতর্কবার্তা মনে করে দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
রোববার (২২ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টে গত বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া তার এক বক্তব্য আবারও শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিও বার্তায় খামেনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ায়, তাহলে তা হবে তাদের নিজেদের ক্ষতির জন্য।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির মুখে পড়বে, তা ইরানের যেকোনো ক্ষতির চেয়ে বহুগুণ বেশি হবে।’
খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যে ক্ষতির সম্মুখীন হবে তা ইরানের যেকোনো ক্ষতির চেয়ে অনেক বেশি হবে।’
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল পৌনে ৬টায় সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ঘোষণায় তিনি জানান, ‘ফোর্ডো, নাতানজ এবং ইসফাহান’ কেন্দ্রে এই হামলা চালানো হয়েছে এবং অংশগ্রহণকারী সব যুদ্ধবিমান নিরাপদে ইরানি আকাশসীমা ত্যাগ করেছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ইরানে পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে অত্যন্ত সফলভাবে হামলা সম্পন্ন করেছি। মাটির ২৬২ ফুট গভীরে থাকা ফোর্ডো কেন্দ্রেও বোমা ফেলা হয়েছে। এখন বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে।’
পরে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত।’
ওয়াশিংটনের ভাষ্যমতে, এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে বি-২ স্টেলথ বোমার, যেগুলো ৩০ হাজার পাউন্ড ওজনের বাঙ্কার-বাস্টার বোমা বহনে সক্ষম। এ ধরনের বোমা ভূগর্ভস্থ কংক্রিট স্তর ভেদ করে গভীরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :