মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তিশালী দেশের অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘আল-উদেইদ ঘাঁটিতে হামলা কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি কাতারের নিরাপত্তার প্রতি সরাসরি হুমকি।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তা হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘কাতারের মার্কিন ঘাঁটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর নেই। পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।’
হামলার পর হোয়াইট হাউসে জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক হয়েছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিচুয়েশন রুমে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এক বিবৃতিতে কাতারকে আশ্বস্ত করে বলেছে, ‘এই পদক্ষেপ কাতার বা কাতারের জনগণের জন্য কোনো বিপদের কারণ নয়। এই হামলা ছিল শুধুমাত্র মার্কিন বাহিনীর প্রতি জবাব। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান কাতারের সঙ্গে উষ্ণ, ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক কূটনৈতিক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখন এমন এক ‘বিশৃঙ্খলার সর্পিল’-এ প্রবেশ করছি, যা বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা আরও বিপন্ন হবে। উত্তেজনা নিরসনে কূটনীতি-ই একমাত্র পথ।’
এদিকে সৌদি সরকার এক বিবৃতিতে ইরানের এই হামলার প্রবল প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, ‘এই হামলা কেবল কাতারের সার্বভৌমত্ব নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন ও প্রতিবেশীসুলভ নীতির সরাসরি লঙ্ঘন।’
রিয়াদ আরও জানিয়েছে, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ ধরনের আগ্রাসন সৌদি আরব কখনোই বরদাশত করবে না।’
সূত্র: আল জাজিরা
