ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে ইইউ

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০৭:৪৬ এএম
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইসরায়েলের পতাকা। ছবি- সংগৃহীত

গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর দমন-পীড়নের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার (২৩ জুন) ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এ সতর্কতা দেন ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া ক্যালাস।

তিনি বলেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে যা ঘটছে, তা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এখন সবচেয়ে জরুরি হলো ফিলিস্তিনিদের জীবন কিছুটা হলেও সহজ করা।

ক্যালাস হুঁশিয়ার করে জানান, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আগামী মাসেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে ইউরোপীয় দেশগুলো।

বৈঠকে ইসরায়েলের সঙ্গে থাকা বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি স্থগিতের প্রসঙ্গও ওঠে। ইতোমধ্যে স্পেন এই চুক্তি পুরোপুরি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে মানুয়েল আলবারেস বলেন, ইসরায়েল আমাদের বন্ধু হতে পারে, কিন্তু তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে-এজন্য জবাবদিহি করতেই হবে।

তিনি ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞারও দাবি জানান। তার সঙ্গে বেলজিয়াম, আয়ারল্যান্ড ও সুইডেনও একমত। তবে জার্মানি, গ্রিস ও ইতালি চুক্তি স্থগিতের বিপক্ষে অবস্থান নেয়।

মানবাধিকার সংস্থা অক্সফামের একজন প্রতিনিধি বলেন, ইইউ যদি সিদ্ধান্তে বিলম্ব করে, তবে সেটাও বিপর্যয়। গাজায় প্রতিদিন মানুষ খাবারের জন্য প্রাণ দিচ্ছে।

ইসরাইল-ইরান যুদ্ধবিরতির প্রেক্ষাপটে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিও জোরালো হয়েছে। গাজায় আটকে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের পরিবার এবং বিরোধী দলগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে সোমবার গাজার খান ইউনিসে ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় আরও বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ জন ছিলেন বিতর্কিত ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ (জিএইচএফ)-এর ত্রাণকেন্দ্রের সামনে জড়ো হওয়া মানুষ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলের ত্রাণ ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম যুদ্ধাপরাধের শামিল।

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের পর গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। গাজার রাফা, নেতজারিম ও গাজা শহরের আশপাশে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি বিমান হামলা।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান