চিকিৎসার জন্য জর্ডানে বেশির ভাগ শিশুকে স্থানান্তরের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বুধবার গাজা উপত্যকার রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য অন্যান্য দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ‘আজ, ডব্লিউএইচও গাজা থেকে জর্ডানে ৩৫ জন রোগী ও তাদের পরিবারের ৭২ সদস্যকে স্থানান্তরের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই রোগীদের বেশির ভাগই শিশু।’ তিনি আরও বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ রোগীদের অব্যাহত সহায়তা ও বিশেষায়িত সেবা প্রদানের জন্য আমরা জর্ডান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
গ্যাব্রিয়েসুস বলেন, ‘গাজার ১০ হাজারের বেশি মানুষের এখনো চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের প্রয়োজন। আমরা আরও দেশকে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য রোগীদের গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। বহু জীবন এর ওপর নির্ভর করছে। আরও অনেকে অপেক্ষা করছে।’
আন্তর্জাতিক সংস্থাটি দীর্ঘদিন ধরেই পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের হাসপাতালগুলোতে যুদ্ধ-পূর্ব ঐতিহ্যবাহী রেফারেল পথটি পুনরায় সম্পূর্ণরূপে চালু করার জন্য একটি সম্প্রসারিত চিকিৎসা করিডরের দাবি জানিয়ে আসছে।
ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, গাজায় বিমান হামলা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ, খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও জ্বালানির অভাবের কারণে অনেক হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলের ওপর আক্রমণের ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, এই হামলার ফলে ১ হাজার ২১৯ জন মারা যায়, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে ৫৮ হাজার ৫৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক।