তিন দিনে ছয় দেশে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশগুলো হলো ফিলিস্তিন, লেবানন, সিরিয়া, তিউনিশিয়া, কাতার এবং ইয়েমেন। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। মাঝখানে দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হলেও কিছুদিন পর গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে দেশটি । সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যায় ৬৪ হাজার ৬৫৬ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। কাতার এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ ও ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। হামলার কথা স্বীকার করেছে ইসরায়েল।
কাতারে হামলার এক দিন পর ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও দেশটির আল-জাওফ প্রদেশে পৃথক ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৩১ জন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) তিউনিশিয়ায় গাজাগামী একটি মানবিক সহায়তার জাহাজেও সন্দেহভাজন ইসরাইলি ড্রোন হামলা চালায়। এছাড়া সর্বশেষ দোহাকে লক্ষ্য করে সামরিক হামলার ঘটনাও ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান আঞ্চলিক সামরিক অভিযানের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
লেবাননের পূর্বাঞ্চলে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) একাধিক হামলা ঘটেছে বলে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর অবস্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। রাষ্ট্রীয় ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, পূর্বাঞ্চলীয় হারমেল এলাকায় সাতটি হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা বেকা উপত্যকায় হিজবুল্লাহর কয়েকটি ‘লক্ষ্যবস্তু’তে আঘাত হেনেছে। এর মধ্যে ছিল গোষ্ঠীটির অভিজাত রাদওয়ান বাহিনীর ব্যবহৃত প্রশিক্ষণ শিবিরও।
এছাড়া সিরিয়ার হোমস শহর এবং উপকূলীয় শহর লাতাকিয়ার আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরাইল। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চালানো এসব হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরাইলি বিমান হামলা ‘সিরীয় আরব প্রজাতন্ত্রের সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’