মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৬ অক্টোবর) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক ফোনালাপে আলোচনা করেছেন। ক্রেমলিনের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট। দুই নেতার সাম্প্রতিক এই ফোনালাপকে মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। এ ছাড়া আলোচনায় দুই নেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেন।
ফোনালাপের বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে বলেছে, ফোনালাপে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনি কাঠামোর ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি সমস্যার একটি সুষ্ঠু নিষ্পত্তির সমর্থনে রাশিয়ার অবিচল অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফোনালাপে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি এবং সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু ও পুতিনের সর্বশেষ ফোনালাপ হয়েছিল গত আগস্ট মাসে।
ইসরায়েলি সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম ক্যান নিউজ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে নেতানিয়াহু রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের মধ্যে বাড়তে থাকা কূটনৈতিক টানাপোড়েন প্রশমনের লক্ষ্যে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছেন।
ক্যান নিউজের তথ্যমতে, নেতানিয়াহুর দপ্তর সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, বিশেষ করে ইউক্রেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখার পুতিনের অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্কের যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তা নিরসনের উদ্দেশ্যে। যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ছে, তবুও রাশিয়া ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর, বিশেষ করে হামাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এ বছরের শুরুর দিকে রুশ-ইসরায়েলি জিম্মি সাশা ট্রুফানোভ মুক্তি পাওয়ার পর, পুতিন তাকে এবং তার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তোমার মুক্তি সম্ভব হয়েছে ফিলিস্তিন ও তাদের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কের কারণে। আমাদের হামাস নেতৃত্বকেও এই মানবিক পদক্ষেপের জন্য ধন্যবাদ জানানো উচিত।’