ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

জিম্মি মুক্তির মধ্যেই ইসরায়েলে পৌঁছেছেন ট্রাম্প

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০১:২৫ পিএম
ইসরায়েলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

গাজা থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম ধাপে মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

ট্রাম্পের সরকারি উড়োজাহাজ এয়ার ফোর্স ওয়ান তেল আবিবের উপকণ্ঠে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এ সময় সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তাঁর স্ত্রী সারা, যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ, উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার এবং তার স্ত্রী ও ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল আটটার পর জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। গাজায় প্রথম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী, গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে আজ সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল–শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতিমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিসরে সম্মেলন শুরুর আগেই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। আর ঠিক এ সময়টায় ইসরায়েলে যাচ্ছেন ট্রাম্প। সেখান থেকে তাঁর মিসরে যাওয়ার কথা। ইসরায়েল সফরে দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার মূল শর্তগুলো হলো—গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ, উপত্যকাটির নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনাদের সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময়। গতকাল রোববার দিনভর বন্দীদের মুক্তি বিষয়ে তৎপরতা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে সেদিন থেকেই গাজায় টানা দুই বছর ধরে নৃশংসতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান। তাঁদের ৪৮ জন এখনো উপত্যকাটিতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২০ জন জীবিত। বাকি ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দী ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দীদের মধ্যে ২২ শিশুও রয়েছে।