যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পারমাণবিক দানব’ আখ্যা দিল ইরান

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পেন্টাগনকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। এই সিদ্ধান্তকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাগচি ‘পশ্চাদমুখী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে ‘পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত এক দখলদার দানব’ বলে সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার (২৯ অক্টোবর) প্রতিরক্ষা দপ্তরকে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্যান্য দেশগুলোর পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকেও সমানভাবে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বজায় রাখতে হবে। ইরান এই পদক্ষেপকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখেছে।

আরও দুই জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস

বিস্তারিত পড়ুন

আঙ্কারা থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ওয়াশিংটন তাদের প্রতিরক্ষা বিভাগকে ‘যুদ্ধ বিভাগ’ হিসেবে পরিণত করেছে, যা তাদের প্রকৃত চরিত্র প্রকাশ করে। এই দখলদার রাষ্ট্রই ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে অপবাদ দিচ্ছে এবং আমাদের সুরক্ষিত স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করবে। আরাগচি যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের ভণ্ডামির কথাও তুলে ধরেন। একদিকে তারা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কার্যক্রমের সমালোচনা করছে, আর অন্যদিকে নিজস্ব পারমাণবিক পরীক্ষা চালাচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।

গ্রিপেন কিনছে ইউক্রেন, বদলাবে কি যুদ্ধ পরিস্থিতি

বিস্তারিত পড়ুন

এর আগে বুধবার ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেন, ‘অন্য দেশগুলোর পরীক্ষামূলক কর্মসূচির কারণে আমি প্রতিরক্ষা দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি আমাদের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাও সমানভাবে শুরু করতে।’ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার বিশ্বের সবচেয়ে বড় বলে দাবি করেছেন, যেখানে রাশিয়া দ্বিতীয় এবং চীন অনেক পিছিয়ে আছে।