ঢাকা সোমবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০২৫

আইএসের ১৫ অস্ত্রাগার ধ্বংস করল মার্কিন-সিরীয় যৌথ বাহিনী

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ০২:৪২ পিএম
যৌথ অভিযানের ছবি। - সংগৃহীত

সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর ১৫টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করেছে মার্কিন-সিরীয় যৌথ বাহিনী। মার্কিন সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ড সেন্টকম শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। 

সেন্টকমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে ইসলামিক স্টেটের ১৫টি অস্ত্রাগার ধ্বংস করেছে মার্কিন-সিরীয় যৌথ বাহিনী। এ অভিযানে ১৩০টিরও বেশি মর্টার ও রকেট এবং অজস্র অ্যাসল্ট রাইফেল, মেশিনগান, অ্যান্টি-ট্যাংক মাইন এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।’

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে ২০১৩ উত্থান ঘটে আইএসের। উত্থানের মাত্র এক বছরের মধ্যে দক্ষিণ সিরিয়া এবং ইরাকের বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করে রাষ্ট্র স্থাপন করে এই সশস্ত্র গোষ্ঠী। আইএসের হামলায় সিরিয়া, ইরাক এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন।

এই গোষ্ঠীকে সমূলে ধ্বংস করতে ২০১৫ সাল থেকে সিরিয়া-ইরাকে অভিযান শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। পরে এতে যোগ দেয় রাশিয়াও। তবে রুশ বাহিনীর অভিযান সিরিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।

টানা কয়েক বছরের অভিযানের জেরে কার্যত কোমর ভেঙে গেছে আইএসের। যে বিস্তীর্ণ এলাকা আইএস দখল করেছিল, তার মাত্র ৫ ভাগের একাংশ কোনো রকমে টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এই গোষ্ঠীটি।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এক অভ্যুত্থানে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন ঘটেছে। বর্তমানে দেশটির অন্তবর্তী প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল শারা। সম্প্রতি তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। 

সে সময় ট্রাম্প বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সিরিয়ায় আহমদ আল শারা-এর নেতৃত্বাধীন সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে যুক্তরাষ্ট্র।