ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

হামাসসহ সব পক্ষের সঙ্গে সংলাপ জরুরি : কাতারের প্রধানমন্ত্রী

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
কাতারের প্রধানমন্ত্রী। ছবি- সংগৃহীত

আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র কার্যকর পথ হলো রাষ্ট্রীয় শক্তির পাশাপাশি হামাসের সঙ্গেও সংলাপ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক যোগাযোগ—এমন মন্তব্য করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।

রোববার দোহা ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক টাকার কার্লসনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যদি অ-রাষ্ট্রীয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলার কেউ না থাকে, তাহলে কোনো সংঘাতেরই টেকসই সমাধান সম্ভব নয়।

শেখ মোহাম্মদ জানান, হামাসের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক নতুন নয়, এটি দশ বছরেরও বেশি পুরোনো। ২০১২ সালে হামাস যখন কাতারে তাদের দপ্তর স্থাপন করে সেটিও হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে।

তার ভাষায়, হামাসের দপ্তর কাতারে খোলা হয়েছিল শুধুমাত্র যোগাযোগ, অস্ত্রবিরতি কার্যকর করা এবং গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য। এটি কখনো সামরিক বা রাজনৈতিক মদদের কেন্দ্র ছিল না।

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের যোগাযোগই অতীতে একাধিকবার যুদ্ধবিরতি, বন্দিমুক্তি ও গাজায় মানবিক সংকট কিছুটা হলেও কমাতে সহায়ক হয়েছে।

এদিকে, গাজায় কাতারের অর্থসহায়তা নিয়ে নানা অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কাতারের এক পয়সাও হামাসের হাতে যায়নি।

তার দাবি, সব অর্থ ও সহায়তা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়, আন্তর্জাতিক তদারকির মাধ্যমে সরাসরি ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে পৌঁছেছে—যা যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে জানত এবং এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ইসরাইল নিজেই সহায়তা পরিবহনে ভূমিকা রেখেছিল।

তিনি অভিযোগ করেন, কিছু রাজনীতিক এই বিষয়টিকে স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক ফায়দার জন্য অপব্যবহার করছেন।

সাক্ষাৎকারে সেপ্টেম্বর মাসে কাতারে ইসরাইলের হামলার বিষয়েও কথা বলেন শেখ মোহাম্মদ। এ ঘটনাকে তিনি ‘অভূতপূর্ব ও সম্পূর্ণ অনৈতিক’ বলে আখ্যায়িত করেন।

তিনি জানান, মধ্যস্থতার মূল ধারণা হলো—সংঘর্ষরত পক্ষগুলোর জন্য একটি নিরাপদ জায়গা তৈরি করা। সেই মধ্যস্থতাকারীকেই যদি এক পক্ষ বোমা হামলার লক্ষ্য বানায় তাহলে সেটি ইতিহাসে নজিরবিহীন।

শেখ মোহাম্মদ জানান, ইসরাইলের এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বিস্মিত ও হতাশ হন।

গাজা পুনর্গঠন প্রসঙ্গে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাতার ফিলিস্তিনি জনগণকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে, কিন্তু অন্যের ধ্বংসযজ্ঞের দায় নিজেদের কাঁধে তুলবে না।

সূত্র : আল জাজিরা