ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মোট ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনীর গণসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর)।
মঙ্গলবার (১২ মে) এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ১০ই মে সংঘর্ষের সময় বিমানবাহিনীর একজন স্কোয়াড্রন লিডারসহ পাঁচজন সদস্য এবং সেনাবাহিনীর ছয়জন সদস্য প্রাণ হারান।
আইএসপিআর আরও জানায়, ৬ ও ৭ই মে রাতের হামলায় সাধারণ মানুষের মাঝেও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। ওই হামলায় সাতজন নারী, ১৫ জন শিশুসহ মোট ৪০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১২১ জন।
আহতদের মধ্যে রয়েছে ১০ জন নারী এবং ২৭ জন শিশু।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতিপূরণ ঘোষণা
এই ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিহত ও আহতদের পরিবারের জন্য আর্থিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। তার কার্যালয় থেকে জানানো হয়, নিহত বেসামরিক নাগরিকদের পরিবারকে এক কোটি রুপি এবং আহতদের ১০ লাখ থেকে ২০ লাখ রুপি পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
নিহত সেনা সদস্যদের পরিবারের জন্যও অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাদের পদমর্যাদার ভিত্তিতে এক কোটি থেকে ১৮ লাখ রুপি পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, গৃহনির্মাণের জন্য ১৯ লাখ থেকে ৪২ লাখ রুপি পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা
প্রায় চার দিন ধরে চলা সংঘর্ষের পর শনিবার ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। তবে পরিস্থিতি পুরোপুরি শান্ত হয়নি।
এদিকে ভারতের পক্ষ থেকেও ক্ষয়ক্ষতির খবর জানানো হয়েছে। দেশটির সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ‘অপারেশন সিন্দুরে’ অভিযানে তাদের আটজন সদস্য নিহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :