ঢাকা রবিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৫

পাকিস্তানের আকাশে রহস্যময় দৃশ্য, গোপনে ভয়ংকর অস্ত্র পরীক্ষার আশঙ্কা

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৫, ০৪:১০ পিএম
মঙ্গলবার ভোরে পাকিস্তানের আকাশে রহস্যময় দৃশ্য। ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সম্প্রতি বেলুচিস্তানে একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। এ ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের বিষয়গুলো জনসমক্ষে জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়।

রোববার (২ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডন।

শুক্রবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সামা টিভির অনুষ্ঠান মেরে সাওয়াল-এ এক সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক যখন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, পাকিস্তান কি সত্যিই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে? তখন আসিফ বলেন, ‘এসব প্রশ্ন এখন করবেন না। এমন বিষয় গোপনে জানতে চাওয়া উচিত।’

এই প্রশ্নটি আসে বেলুচিস্তানের কোয়েটার আকাশে গত মঙ্গলবার ভোরে এক বিরল ‘লেনটিকুলার মেঘগঠন’ দেখা যাওয়াকে কেন্দ্র করে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে কৌতূহল ও জল্পনার সৃষ্টি করে। ঘটনার পর অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেন, এটি হয়তো কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা অথবা সামরিক বাহিনীর নতুন কোনো প্রযুক্তি পরীক্ষার ফলাফল।

তবে সপ্তাহের শুরুর দিকে খাজা আসিফ এই গুজব উড়িয়ে দেন এবং বলেন, অনলাইনে যে কথাবার্তা ছড়ানো হচ্ছে, তা নিছক জল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়।

একই দিনে পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানায়, এটি আসলে ‘লেনটিকুলার ক্লাউড ফরমেশন’ বা বিশেষ ধরনের মেঘের গঠন, যা কোহ-ই-মুরদার এলাকার আকাশে সূর্যোদয়ের আগে দেখা যায়। মেঘটি সূর্যোদয়ের প্রায় ২০ মিনিট আগে তৈরি হয় এবং সূর্য ওঠার ঠিক আগেই মিলিয়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অফিসের মতে, লেন্টিকুলার মেঘ হলো লেন্স আকৃতির অরোগ্রাফিক তরঙ্গ মেঘ। এটি তখনই তৈরি হয় যখন বাতাস স্থিতিশীল থাকে এবং ট্রপোস্ফিয়ারের মধ্য দিয়ে একই বা অনুরূপ দিক থেকে পাহাড় ও পাহাড়ের ওপর দিয়ে বাতাস প্রবাহিত হয়। এই অদ্ভুত, অপ্রাকৃতিক দেখতে মেঘগুলো কখনও কখনও পাহাড় বা পাহাড়ের নিচের দিকে বাতাস তৈরি করে। এগুলো দেখতে অনেকটা বিজ্ঞান কল্পকাহিনীতে উড়ন্ত তরকারির ঐতিহ্যবাহী আকৃতির মতো।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা এটিকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক আবহগত প্রক্রিয়া বলে ব্যাখ্যা দিলেও প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফের প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়া বক্তব্য আবারও জনমনে জল্পনা জাগিয়েছে। কোয়েটার আকাশে দেখা পাওয়া মেঘের পেছনে সত্যিই কি শুধু প্রকৃতি কাজ করেছে, নাকি এর আড়ালে ছিল অন্য কোনো রহস্য?