ব্রাজিল থেকে আমদানি করা অনেক পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ বুধবার থেকে এই শুল্কহার কার্যকর হচ্ছে। ব্রাজিলের ডানপন্থি সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে ‘জাদুবিদ্যার শিকার’ বলে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন তার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এই শুল্ক আরোপ করেছে, সেটাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বুধবার (৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
২০২২ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর বলসোনারোর বিরুদ্ধে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিচার চলমান। তবে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বিমান, জ্বালানি ও কমলার রসসহ কিছু পণ্যে ছাড় দেওয়া হয়। ফলে ব্রাসিলিয়ার হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাজিলের রপ্তানির মাত্র ৩৬ শতাংশের ওপরই এখন শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প একাধিক নোটিশ জারি করে বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক অংশীদারকে জানিয়েছিলেন যে, তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর উচ্চ আমদানি কর আরোপ করা হবে। এর বেশিরভাগই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে চলেছে। দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রে আমদানির ওপর ১০-৪১ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের সম্মুখীন হবে।
সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ানসহ বেশ কিছু দেশ অব্যাহতভাবে প্রতিকার পাওয়ার আশায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনে শান্তিতে সম্মত হতে অথবা নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে রাশিয়ার জন্য ট্রাম্পের নির্ধারিত সময়সীমা শুক্রবারের আগে মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ সাক্ষাৎ করেছেন।
ব্রাজিলের পাশে চীন
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের বিশেষ উপদেষ্টা সেলসো আমোরিমকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ‘গুণ্ডামি আচরণ’ প্রতিরোধে ব্রেইজিং ব্রাসিলিয়াকে সমর্থন করে।
ওয়াংয়ের মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতি অনুসারে, বুধবার তাদের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
বিবৃতি অনুসারে, চীন ব্রাজিলকে তার নিজস্ব অধিকার রক্ষায় সমর্থন করে এবং ব্রাজিলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘অযৌক্তিক’ বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। অবশ্য ওয়াং সরাসরি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম নেননি।