ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব জন হিলি বলেছেন, তাইওয়ান নিয়ে উত্তেজনা বাড়লে যুক্তরাজ্য প্রয়োজনে চীনের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে, যদিও লন্ডন কূটনৈতিক সমাধানকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়া সফরে দ্য টেলিগ্রাফ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হিলি বলেন, প্রয়োজনে ব্রিটেন ‘শক্তির মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত করবে’। এটি বেইজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য সরাসরি সংঘর্ষের বিষয়ে একজন ঊর্ধ্বতন ব্রিটিশ কর্মকর্তার অন্যতম স্পষ্ট মন্তব্য।
অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে ব্রিটিশ বিমানবাহী রণতরী এইচএমএস প্রিন্স অব ওয়েলস নোঙ্গর করার সময় তিনি এই বক্তব্য দেন। প্রায় ৩০ বছর পর এই প্রথম কোনো ব্রিটিশ স্ট্রাইক গ্রুপ ওই অঞ্চলে মোতায়েন হয়েছে। নয় মাসের জন্য প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থান করা রণতরীটি অস্ট্রেলিয়ার ট্যালিসম্যান সাবের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরও পরিদর্শন করছে।
হিলি বলেন, ‘যদি যুদ্ধ করতেই হয় অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য একসঙ্গে লড়বে। একসঙ্গে অনুশীলন ও প্রস্তুতির মাধ্যমে আমরা সংঘাত প্রতিরোধে আরও সক্ষম হই।’ তিনি আরও করেন, তাইওয়ানের বিষয়ে লন্ডনের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
চীন তাইওয়ানকে তার ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের অধিকার রাখে বলে জানায়। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এক-চীন নীতি মানলেও তাইওয়ানের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা সহায়তা বজায় রাখে।
সম্প্রতি তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে একটি ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজের চলাচল নিয়ে বেইজিং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ ‘ইচ্ছাকৃত উসকানি’ এবং আঞ্চলিক শান্তি ব্যাহত করে।