পশ্চিম লন্ডনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির পুরনো টেলিভিশন সেন্টারের সদর দপ্তরের একটি রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাপ ঘটেছে। এতে প্রায় ১০০ জন দমকলকর্মী আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে হোয়াইট সিটির উড লেনের নয়তলা ভবনে আগুন লাগার পর সেখানে ১৫টি ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়। ভবনটিতে বর্তমানে একটি রেস্তোরাঁ, ফ্ল্যাট এবং টেলিভিশন স্টুডিও রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনির্দিষ্ট সংখ্যক ফ্ল্যাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুনের কারণ এখনো জানা যায়নি এবং কোনো হতাহতের খবরও নেই।
ভবনের সপ্তম তলায় বসবাসকারী ইসাবেলা ব্রুকার জানান, তাকে এবং তার সাড়ে আট মাস বয়সী ছেলে রাফায়েলকে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে সরিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা দরজায় টোকা পড়ার শব্দ শুনলাম এবং ফায়ার ব্রিগেড আমাদের সরে যেতে বলল। পুরো করিডোর জুড়ে ধোঁয়া ছিল, এটা খুবই ভয়ংকর ছিল। আমি সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছি, এখনো শুধু পায়জামা পরে আছি। আমার কাছে ডায়াপার পর্যন্ত নেই।’
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, ঘটনার কিছুক্ষণ পরই তাদের ডাকা হয়। আগুন নেভাতে হ্যামারস্মিথ, নর্থ কেনসিংটন, কেনসিংটন ও চিসউইক থেকে কর্মীরা অংশ নেন। উঁচু থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুটি বড় টার্নটেবল মই ব্যবহার করা হচ্ছিল।
সকাল ৮টা পর্যন্ত জারি করা আপডেটে জানানো হয়, রেস্তোরাঁ, বাইরের ডেকিং এবং ডাক্টিং এখনও জ্বলছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকার ভবনগুলো খালি করা হচ্ছে এবং মেট্রোপলিটন পুলিশসহ একাধিক সংস্থা এ কাজে অংশ নিচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য একটি বিশ্রামকেন্দ্র খোলার প্রস্তুতি চলছে।
লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানায়, উড লেন বর্তমানে যান চলাচলের জন্য বন্ধ রয়েছে এবং ঘটনাটি আরও কিছু সময় ধরে চলতে পারে। তাই মানুষকে এলাকাটি এড়িয়ে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ অফিসারদের পাশে লন্ডনের একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি ফায়ার ইঞ্জিন দেখা গেছে।
লন্ডন অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একজন রোগীর চিকিৎসা করা হয়েছে, তবে পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র বলেন, ঘটনাটি চলমান রয়েছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আমরা জরুরি পরিষেবা অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।
সূত্র: বিবিসি