ইতালির রাজধানী রোমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পঞ্চম দফার বৈঠক শেষ হয়েছে। তবে এ আলোচনার পরও দুই দেশের এখনো কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
ওমান, যারা এই আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে জানায়, এই দফায় কিছু নতুন প্রস্তাব উঠেছে। তবে সেগুলো নিয়ে এখন ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র নিজ নিজ দেশে আলোচনা করবে। এরপরই ঠিক হবে পরবর্তী বৈঠকের সময়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, এমন জটিল বিষয়ে দুই-তিনবার আলোচনায় কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব নয়। তবে তিনি এও বলেন, এবারের বৈঠক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সবচেয়ে পেশাদার ও গঠনমূলক আলোচনা।
তিনি জানান, ইরান তাদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে। এখন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থাও আরও স্পষ্ট হয়েছে।
ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি বলেন, ‘নতুন করে আলোচনার দরজা খোলা হয়েছে, কিন্তু কোনো দেশকে চাপ দিয়ে কিছু আদায় করা যাবে না।’
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘ইরানকে ৬০ শতাংশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতে হবে এবং ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কর্মসূচিও সীমিত করতে হবে।’
তবে এই শর্তগুলোকে ‘অতিরিক্ত এবং অন্যায্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, এসব শর্ত বেআইনি ও মানবতাবিরোধী।
ইরান বলছে, তারা পারমাণবিক চুক্তি মেনে চলতে চায়, তবে শুধু তখনই, যদি যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাসযোগ্য প্রতিশ্রুতি দেয়। ইরান আরও বলেছে, তারা চায় না ২০১৮ সালের মতো আবার যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়াক, যেমনটি করেছিল ট্রাম্প সরকারের সময়।
আপনার মতামত লিখুন :