যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র এক বছরে পাঁচটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং একাধিক খুনের চেষ্টা দেশজুড়ে আতঙ্ক বাড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী থেকে শুরু করে অঙ্গরাজ্যের স্পিকার, রাজনীতিক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে একের পর এক সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
গত বছরের ১৩ জুলাই নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার বাটলার শহরে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামলাকারী একাধিক গুলি ছুড়লে ট্রাম্পের কান ছুঁয়ে যায়। নিহত হন এক সমর্থক, আহত হন অনেকে। পাল্টা গুলিতে নিহত হন অস্ত্রধারীও।
এর দুই মাস পর, সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় গলফ ক্লাবের বাইরে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হন রায়ান ওয়েসলি রাউথ। ৫৮ বছর বয়সি এই অভিযুক্তকে গলফ কোর্সের ঝোপের আড়ালে রাইফেলসহ অবস্থান করতে দেখে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা আটক করে।
এছাড়া গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিলেন রাজনৈতিক প্রবাবশালী ব্যক্তি নিক ফুয়েন্টেস। ইলিনয়ের বেরউইনে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তার বাড়িতে হামলা চালায় এক অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি আরও তিনটি হত্যাকাণ্ডের সন্দেহভাজন ছিলেন। পুলিশের ধাওয়ায় ওই হামলাকারী নিহত হন।
চলতি বছরের ১৪ জুন মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট নেতা ও স্পিকার মেলিসা হর্টম্যান এবং তার স্বামী নিজ বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। একই রাতে রাজ্যের সিনেটর জন হফম্যান ও তার স্ত্রীও হামলার শিকার হয়ে আহত হন। অভিযুক্ত ভ্যান্স লুথার বোল্টারকে দু’দিনের অভিযানের পর গ্রেফতার করা হয়। প্রসিকিউটরদের দাবি, তার কাছে ৭০ জন রাজনীতিবিদের একটি টার্গেট তালিকা পাওয়া গেছে।
সবশেষ ১০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহযোগী প্রভাবশালী রক্ষণশীল রাজনৈতিক নেতা চার্লি কার্ক। ঘটনার পর ইউটাহ’র গভর্নর স্পেনসার কক্স সংবাদ সম্মেলনে এটিকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলে উল্লেখ করেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড মার্কিন রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন অধ্যায় সূচনা করতে পারে।