যুক্তরাষ্ট্রের কিছু টিভি নেটওয়ার্কের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য সফর শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি পড়েছি যে টিভি নেটওয়ার্কগুলো আমার বিপক্ষে ৯৭ শতাংশ নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করেছে, তবুও আমি সহজেই জিতেছি (গত বছরের নির্বাচনে)। তারা শুধু নেতিবাচক কথা বলছে, অথচ লাইসেন্স পাচ্ছে। তাদের লাইসেন্স হয়তো কেড়ে নেওয়া উচিত।’
যুক্তরাষ্ট্রের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রক সংস্থার (এফসিসি) সমর্থনে ট্রাম্প এ মন্তব্য করেন, যা টকশো উপস্থাপক জিমি কিমেলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার বিষয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এফসিসির চেয়ারম্যান ব্রেন্ডন কার এবিসিকে সতর্ক করার পর অনুষ্ঠানটি স্থগিত হয়। সমালোচকদের মতে, বিরোধী কণ্ঠস্বর দমন করছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থি রাজনৈতিক কর্মী ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র চার্লি কার্কের হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্যের পর ডিজনি–মালিকানাধীন এবিসি জিমি কিমেলের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করে। কিমেল ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন ট্রাম্প সমর্থক হতে পারেন। তবে কর্মকর্তাদের দাবি, ওই ব্যক্তি বামপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত ছিলেন।
৫৭ বছর বয়সি কিমেল সোমবারের মনোলগে বলেন, ‘মাগা গোষ্ঠী মরিয়া হয়ে চার্লি কার্কের হত্যাকারীকে তাদের বাইরের মানুষ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে এবং রাজনৈতিক ফায়দা লুটছে।’ তিনি ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়াকে ‘চার বছরের শিশু যেমন গোল্ডফিশের মৃত্যুতে কাঁদে’ তেমন বলেও উল্লেখ করেন। তবে কিমেল এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে কার্ক পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এফসিসি প্রধান ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমরা জনস্বার্থে সম্প্রচারকদের জবাবদিহিতার আওতায় রাখব। তারা না চাইলে এফসিসির কাছে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে পারে।’
১০ সেপ্টেম্বর ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেওয়ার সময় গলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৩১ বছর বয়সি কার্ক। পরে মঙ্গলবার ২২ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানাবেন বলে জানিয়েছেন।