মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের জন্য একটি অস্ত্র প্যাকেজ অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সম্পর্কে অবগত পাঁচ ব্যক্তির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে তার আলোচনার প্রচেষ্টা এবং চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। এই বৈঠকটি আগামী মাসে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় এপেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে হওয়ার কথা রয়েছে।
৪০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের এ অস্ত্র চুক্তিকে পূর্ববর্তী সরবরাহের তুলনায় ‘আরও মারাত্মক’ হিসেবে বর্ণনা করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দল বিশ্বাস করে যে তাইওয়ানের নিজেদের অস্ত্র কেনা উচিত। এটি মূলত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈদেশিক নীতির প্রতি ‘লেনদেনমূলক’ দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তবে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সিদ্ধান্তটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এদিকে তাইওয়ান প্রণালীর যুদ্ধজাহাজ পরিবহন নিয়ে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার তীব্র নিন্দার পরিপ্রেক্ষিতে চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বেইজিং তাইওয়ানকে যেকোনো বিদেশি সামরিক সহায়তার তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন চায়, তবে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগের অধিকার সংরক্ষণ করে।
গত ডিসেম্বর চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাইওয়ানকে সতর্ক করে বলেছিল, ‘স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করা এবং সামরিক উপায়ে স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করা আত্মধ্বংসের পথ।’
অন্যদিকে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওয়াশিংটন পোস্টের এ প্রতিবেদন নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্র একটি ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সহযোগিতা কাঠামো বজায় রেখেছে এবং একটি বিস্তৃত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যে সব ধরনের বিনিময় কর্মসূচি সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওয়াশিংটন তাইওয়ানের কাছে একাধিক অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেমস সরবরাহও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন