পেপাল পার্কের দর্শকরা আজ এক রোমাঞ্চকর গোল উৎসবের সাক্ষী থাকলেন। ইন্টার মায়ামি এবং সান জোসে আর্থকোয়াক্স একে অপরের জালে বল জড়িয়েছে বারবার। তবে এই ছয় গোলের ম্যাচে লিওনেল মেসি কোনো গোল করতে পারেননি। বরং বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছেন এই আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার।
জয় যেন ইন্টার মায়ামির কাছে অধরা হয়ে দাঁড়ালো। ৪ মে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ম্যাচে নিউইয়র্ক রেডবুলসকে ৪-১ গোলে হারানোর পর মায়ামি আর জয়ের মুখ দেখেনি।
১০ মে মিনেসোটার কাছে তারা ৪-১ গোলে পরাজিত হয়। আর আজ বাংলাদেশ সময় সকালে সান জোসের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করল দলটি।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ম্যাচের প্রথম মিনিটেই জর্দি আলবার পাসে গোল করে মায়ামিকে এগিয়ে দেন ডিফেন্ডার ম্যাক্সিমিয়ানো ফ্যালকন (১-০)।
তবে তিন মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় সান জোসে। ক্রিস্টিয়ান আরাঙ্গোর গোলে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ১-১। এরপর ১৮ মিনিটে আলবার বাড়ানো বল ধরে ডান পায়ের শট নিতে গিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি।
৩১ মিনিটে সান জোসের ফরোয়ার্ড ক্রিস্টিয়ান আরাঙ্গো চোট পেয়ে মাঠ ছাড়লে নামেন আমাল পেলেগ্রিনো। এর কিছুক্ষণ পরেই ৩৭ মিনিটে বিউ লিউরক্সের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সান জোসে।
৪০ মিনিটে ফের মেসি সুযোগ পান দলকে সমতায় ফেরানোর, কিন্তু তার শট রুখে দেন সান জোসের গোলরক্ষক দানিয়েল।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও দুটি গোল হয়। ৪৪ মিনিটে তাদিও আলেন্দের গোলে মায়ামি সমতা ফেরালেও (২-২), ৪৫+৪ মিনিটে ইয়ান হার্কসের গোলে ফের ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সান জোসে।
বিরতির ঠিক আগে, ৪৫+৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মায়ামি ৪৬ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চির পরিবর্তে ব্যালতেসার রদ্রিগেজকে মাঠে নামায়। এই পরিবর্তনের ফলও দ্রুত পায় মায়ামি।

৫২ মিনিটে রদ্রিগেজের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে সমতায় ফেরান আলেন্দে (৩-৩)।
৬৩ মিনিটে রদ্রিগেজের জায়গায় অ্যালেন ওবান্দো মাঠে নামলেও ম্যাচের ফল আর বদলায়নি। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ চললেও ফিনিশিংয়ের দুর্বলতা এবং গোলরক্ষকদের দৃঢ়তায় কোনো দলই আর গোল করতে পারেনি।
এমনকি ৯০+২ মিনিটে মেসির আরও একটি সুযোগ রুখে দেন সান জোসের গোলরক্ষক দানিয়েল। শেষ পর্যন্ত সান জোসে আর্থকোয়াক্স এবং ইন্টার মায়ামির ম্যাচ ৩-৩ গোলের ড্রয়ে শেষ হয়।
এই ড্রয়ের ফলে ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১২ ম্যাচে ৬ জয়, ৪ ড্র ও ২ পরাজয় নিয়ে ২২ পয়েন্টে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্টার মায়ামি। ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে সিনসিনাটি।
সমান ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই ও তিনে রয়েছে ফিলাডেলফিয়া ও কলম্বাস, তবে তারা মায়ামির চেয়ে একটি করে ম্যাচ বেশি খেলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :