জুলাই আন্দোলন নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় পুলিশ সদস্য কনস্টেবল ফারজুল ইসলামকে বরখাস্তের আদেশ দিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলাই নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য শিকদার মোহাম্মদ হোসেন ইমাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), প্রণব কুমার সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এবং দেবাশীষ রায়, পুলিশ পরিদর্শক অপরাধ শাখা তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে তিন দিনের ভেতর রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। তদন্তের পর সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের পর বরখাস্ত হওয়া পুলিশ
সদস্য তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে বিরূপ মন্তব্য করে, এমন সত্যতা পান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ জুলাই পুলিশ সদস্য কনস্টেবল ফারজুল ইসলামের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর রিপোর্ট দাখিল করেন। রিপোর্ট দাখিলের পর জেলা পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্য ফারজুল ইসলাম রনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দহকুলা গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিন মৃধার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানবিরোধী মন্তব্য করায় ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত কনস্টেবল ফারজুল ইসলামকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কাজ যে পুলিশ সদস্য করবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে জুলাই নিয়ে অবমাননাকর পোস্ট করেন কুষ্টিয়া ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল ফারজুল ইসলাম রনি। এর প্রতিবাদ ও তার শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাতের দিকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
আপনার মতামত লিখুন :