বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০২:৪৯ এএম

স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের নামে দুদকের মামলা

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০২:৪৯ এএম

স্ত্রীসহ শামীম ওসমানের  নামে দুদকের মামলা

সাড়ে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ৪৬৩ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়া শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক পৃথক ২টি সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াম পাল ও মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসবিহীন ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদের মালিক হন এবং তা ভোগ-দখলে রাখেন। এ ছাড়া তার নামে ৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮০ টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। যা সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।

অন্যদিকে শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৩ কোটি ৯ লাখ ৭৫৭ টাকার সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ব্যাংক হিসাবে থাকা ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ টাকার সন্দেহভাজন লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দুদকের অন্য মামলাটি শামীম ওসমানের স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এই মামলায় শামীম ওসমানকেও আসামি করা হয়েছে।

পরস্পর যোগসাজশে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দ-বিধি ১৮৬০-এর ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়েছে।

এ ছাড়া শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান ও মেয়ে লাবীবা জোহা অঙ্গনার বিরুদ্ধে পৃথকভাবে সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দিয়েছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারায় নোটিশ জারি করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী রাজনীতিক শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালে প্রথম অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। সে সময় তার বিরুদ্ধে সম্পদের হিসাব গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়, তবে তা দীর্ঘদিন স্থবির ছিল।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের শেষদিকে কমিশনের একটি বিশেষ শাখা তার ব্যাংক লেনদেন ও সম্পদের তথ্য বিশ্লেষণ শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধান শুরুর ১৯ বছর পর তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক মামলা করল দুদক। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!