বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৬:০৬ এএম

নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি, দ্বিগুণ বীজের দাম

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৫, ০৬:০৬ এএম

নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নোয়াখালীতে টানা বৃষ্টি ও ফেনী মহুরী নদী থেকে নেমে আসা পানিতে ব্যাপক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে আউশ ধান, আমন ধানের বীজতলা ও গ্রীষ্মকালীন-শরৎকালীন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে দেখা দিয়েছে গোড়া পচাসহ নানা রোগবালাই। ফলে বাজারে আমন ধানের বীজের দাম বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলায় মোট পাঁচ হাজার ১৯৯ হেক্টর  জমির ফসল পানিতে আক্রান্ত আবস্থায় আছে। এর মধ্যে ৮৯১ হেক্টর আমনের বিজতলা, ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর আউশের বীজতলা, ১ হাজার ২শ’ হেক্টর গ্রীষ্মকালীন সবজি, ৫৭৫ হেক্টর শরৎকারীন সবজি  নিমজ্জিত অবস্থায় আছে।

৫৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত, পানিবন্দি ২৫ হাজার পরিবার

গত ৭ জুলাই থেকে টানা চারদিনের ভারি বর্ষণে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়নে সৃষ্টি হয় তীব্র জলাবদ্ধতা। এতে ডুবে যায় আউশ ধানের খেত ও আমনের বীজতলা

জেলা প্রশাসন সূত্র থেকে জানা যায়, এই জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার ৪০৩ জন মানুষ। এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন ২৪ হাজার ৯৫০টি পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৮টি বাড়ি, এবং ২৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১,০২৩ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। স্বাস্থ্যসেবায় মাঠে কাজ করছে ২৯টি মেডিকেল টিম।

সুবর্ণচরের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চারদিক পানির নিচে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করার মতো উঁচু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ কেউ জায়গা ভাড়া নিচ্ছে, কিন্তু অনেক কৃষকই পুঁজির অভাবে নতুন বীজতলা তৈরি করতে পারছেন না।’

কোম্পানীগঞ্জের কৃষক আমির হোসেন বলেন, ‘আকস্মিক দুর্যোগে সবজি ক্ষেত পানিতে শেষ হয়ে গেছে। এখন ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? ঘুরে দাঁড়াতে হলে সরকারি সহায়তা ছাড়া উপায় নেই।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মীরা রানী দাস বলেন, ‘কবিরহাট, সুবর্ণচর ও সদর উপজেলায় বীজতলা ও সবজি আক্রান্তের হার বেশি। বিশেষ করে কবিরহাটে পানি সরে যেতে সময় লাগছে বেশি। তবে পানি নামলে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কমে আসবে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের পরামর্শ ও সহায়তা দিতে নিরলস কাজ করছেন।’

Shera Lather
Link copied!